রাজশাহী চারঘাটে হঠাৎ করে বেরেছে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম
এইচ শাহাদত হোসেন, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর চারঘাটের হাট-বাজারগুলোতে চাউল, পিয়াজ, রসুন, আদাসহ বেড়েই চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যগুলোর দাম নিয়ন্ত্রণে এখনই পাইকারী ও খুচরা বাজারে মনিটরিং অভিযান চান সাধারণ ভোক্তারা।চলতি মৌসুমে, উজান থেকে নেমে আসা পানি ও বর্ষা মৌসুমে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃষ্টি হওয়ায় উপজেলার অধিকাংশ সবজি উৎপাদন এলাকা ডুবে গেছে।
ফলে দীর্ঘ সময় পানি বন্দি থাকায় অধিকাংশ জমিতে নির্দিষ্ট সময়ে চাষীরা সবজির চাষ করতে সক্ষম হননি।কিছু কিছু উচুঁ জমিতে চাষাবাদ করলেও সবজির উৎপাদন প্রয়োজনীয় চাহিদার তুলনায় অনেক কম হয়েছে। ফলে নির্ভর করতে হচ্ছে পাশর্^বর্তী উপজেলা ও জেলা শহরের সবজির সরবরাহের উপর। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম হওয়ায় ধাপে ধাপে বেড়েই চলেছে পিয়াজ, রসুন, আদাসহ প্রয়োজনীয় সবজির দাম। তবে সবচেয়ে মরিঁচ ও পেয়াজের ঝাঁচ ব্যপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরেজমিনে সারদা ও চারঘাট বাজারে সবজি ব্যবসায়ী বাবর আলী বলেন, সবজির মধ্যে আলুর দাম না বাড়লেও পেয়াঁজ, আদা ও রসুন, পটল, বেগুন, কাচাঁমরিচ, করলাসহ বিভিন্ন সবজির দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৭ দিনে পেয়াঁজের দাম কেজি প্রতি ১৫-২০টাকা, কাচাঁমরিচের দাম কেজিতে ১শত টাকা ও সবজির প্রকারভেদে কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারী বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেশি বলে দাবি করেন খুচরা এ বিক্রেতা।
চারঘাট বাজারের সবজি ব্যবসায়ী রিপন আলী ও নন্দনগাছি বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আজাম্মেল বলেন, সবজির দাম বেশি হওয়া ক্রেতাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা কম। সারদা বাজার চাউল ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনে মোটা চাউলে কেজি প্রতি প্রায় ৫-১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে একেধারে পাইকারী বাজারে অল্প পরিমাণ ক্রয় করতে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। এরজন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারী বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহের অভাব ও অতিরিক্ত পরিবহন খরচ বলে জানান এই প্রতিবেদককে জানান।
এদিকে প্রয়োজনীয় সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সারদা বাজারের ক্ষুদ্র পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী আওয়াল জানান করোনা প্রকোপে ব্যবসা প্রায় বন্ধ, বিক্রয় কমে যাওয়া আয়ের পরিমাণ দিন দিন কমছে। এমন অবস্থায় চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী ক্রয় করা খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই স্থানীয় প্রশাসনের উচিৎ এখনই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া।এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা বলেন, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি সমন্ধে আমাদের কাছে কোন ক্রেতা বা ভোক্তাভুগি কেউ এপর্যন্ত অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে উপজেলা সব হাট-বাজারগুলোতে মনিটরিং অভিযান চালানো হবে। কেউ অযৌক্তিক দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
কোন মন্তব্য নেই